রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগে আরো সেনাকে সামরিক আদালতে বিচার (কোর্ট মার্শাল) করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
মিয়ানমার সরকার নিযুক্ত একটি কমিশন রোহিঙ্গদের বিরুদ্ধে সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছে বলার পর সেনাবাহিনী শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে।
জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওই প্যানেলে উপসংহার টেনে বলা হয়েছে, “২০১৭ সালে ওই গ্রুপটির বিরুদ্ধে (রোহিঙ্গা) সেনাবাহিনী পরিচালিত অভিযানে অনেকের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধাপরাধ এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।”
শুক্রবার সেনাবাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে একটি পোস্টে বলেছে, তারা প্যানেলের প্রতিবেদনটি সবিস্তারে পড়েছে এবং অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে দেখছে।
২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে কয়েকটি সীমান্ত পুলিশ পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় নয় পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাজ্যে বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা অভিযান শুরু হয়।
প্রাণ বাঁচাতে সেখানকার প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়। গণহত্যার অভিপ্রায় নিয়েই ওই অভিযান চলেছে বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘ তদন্তকারীরা।
সেনাবাহিনী বলেছে,সেনাবাহিনী দুটো গ্রামে সেনাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।একটি হচ্ছে মং নু গ্রাম যেখানের অধিবাসীরা তদন্ত প্যানেলকে ২শ মুসলিম হত্যার তথ্য জানিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে চুত পাইন গ্রাম যেখানে আরো ডজন খানেক মানুষ হত্যার অভিযোগ আছে।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে,“ দ্য কোর্ট অব ইনকোয়ারি এ ঘটনাগুলো তদন্ত করবে এবং আইনানুগভাবে সামরিক ন্যায়বিচার অনুযায়ী কোর্ট মার্শাল করা হবে।
পাঠকের মতামত: